জগন্নাথপুর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষকের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ
মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি,জগন্নাথপুর প্রতিনিধি,…….
সুনামগঞ্জ জেলাধীন জগন্নাথপুর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আবদুর রউফের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ নিয়ে এলাকায় বইছে আলোচনা – সমালোচনার ঝড়।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়,সুনামগঞ্জ জেলাধীন জগন্নাথপুর পৌর এলাকার হবিবপুর শাহপুর গ্রাম নিবাসী আবদুর রউফ বিগত ২০০৬ সালে জগন্নাথপুর ডিগ্রি কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ পান। তখন কলেজটি ডিগ্রিতে উন্নীত হয়নি। এর কয়েক দিন পর তথ্য গোপন করে তিনি জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর সৈয়দীয়া শামছিয়া আলিম মাদ্রাসায় প্রভাষক পদে চাকুরি করেন।
এমতাবস্থায় মাদ্রাসায় যোগদানের ফলে তাঁর কলেজের প্রভাষক পদটি শূন্য হওয়ার কথা। তবে এ মাদ্রাসায় তিনি প্রায় দুই বছর চাকুরি করে ২০০৮ সালে আবার জগন্নাথপুর ডিগ্রি কলেজে ফিরে আসেন। বর্তমানেও তিনি জগন্নাথপুর ডিগ্রি কলেজে প্রভাষকের দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ব্যাপারে প্রভাষক আবদুর রউফের চাকুরি কালীন সময়ের সকল তথ্য জানতে হবিবপুর আশিঘর গ্রাম নিবাসী শিক্ষানুরাগী আবদুর নুর গত ৫ ই নভেম্বর সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে তথ্য অধিকার আইনে লিখিত আবেদন করেন। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে আবেদনকারী আবদুর নুর জানান, একই সাথে দুইটি এমপিও ভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করার বিধান নেই। তথ্য গোপন করে একই সাথে দুইটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করা আইন বহির্ভূত।
এ বিষয়ে তথ্য জানতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জগন্নাথপুর ডিগ্রি কলেজ ও সৈয়দপুর সৈয়দীয়া শামছিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষকের কাছে পত্র প্রেরণ করা হলেও এ পর্যন্ত কোন তথ্য জানানো হয়নি। তবে আবদুর রউফ নিজেকে রক্ষা করতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহিদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের চিঠি পেয়েছি। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনাক্রমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবদুর রউফের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।